[ad_1]
নিজস্ব প্রতিনিধি, মুম্বই – তৃণমূলের সাংগঠনিক কাজ গুছিয়ে এবার বাংলার শিল্পের উন্নয়নে মনোযোগ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গে শিল্পে বিনিয়োগ বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে তিনদিনের মুম্বই সফরে গিয়েছেন মমতা। সফরের দ্বিতীয় দিনেই নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী জাভেদ আখতার, সুধীর কুলকার্নি, সমাজকর্মী মেধা পাটেকর, শোভা দে, মহেশ ভাট, মুনওয়ার ফারুকি ও স্বরা ভাস্করের মতো একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের সাথে সাক্ষাৎ করেন।
বৈঠক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাফ বার্তা, ‘সমাজে নাগরিক সমাজের অনেক বড় ভূমিকা থাকে। আমরা কর্মক্ষমতায় বিশ্বাসী পেশীশক্তিতে নয়। ঐক্যের মধ্যে বৈচিত্রই আমাদের দেশের প্রধান বৈশিষ্ট্য। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, আমাদের নৃশংস ও অগণতান্ত্রিক ব্যবহার সহ্য করতে হচ্ছে। আমি নাম বলতে বাধ্য হচ্ছি এর জন্য বিজেপি দায়ী। যদি আপনার সত্যি তাদের বিরুদ্ধে লড়তে চান তবে সবাইকে একত্রিত হতে হবে। কখনও ভাববেন না আমরা ওদের হারাতে পারব না। নিশ্চয়ই পারব। আপনারা সমাজের স্তম্ভ আপনারা আমাদের পরামর্শ দিন’।
তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘আমরা লড়াই করে এই অবধি এসেছি। ভয় দেখানোর জন্য আমি পরিবারের সকলকেই সিবিআই ইডি নোটিশ দিয়েছে, ডেকে পাঠিয়েছে। কিন্তু এতে আমি ভয় পাই না। যতদিন বাঁচব, ততদিন লড়ব। রাজনীতিবিদরা কথা বলেন। আমি কথা কম বলে কাজ করতে ভালবাসি’।
বিশিষ্ট লেখিকা শোভা দে’র প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কে হবেন সেটা বড় বিষয় নয়, গণতন্ত্র রক্ষাই এই মুহূর্তে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। পরিস্থিতি ঠিক করে দেবে কে প্রধানমন্ত্রী হবেন। বিজেপির বিরুদ্ধে কংগ্রেস কড়া টক্কর দিতে পারছে না। রাস্তায় নেমে লড়াই করতে হবে। বেশিরভাগ সময় বিদেশে ঘুরে বেড়ালে রাজনীতি কখন করবেন? আঞ্চলিক দলগুলি এগিয়ে এসে জোট বাঁধলে বিজেপিকে হারানো সহজ হয়ে যাবে’।
পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘আমার ১০৫ টি বই এখনও প্রকাশিত হয়েছে সবগুলি থেকে আমি রয়্যালিটি বাবদ টাকা পাই। জাভেদ যেমন গান লেখেন আমি তেমন সুর দিই। সেখান থেকেও আমি টাকা পাই আমি একা মানুষ আমার আর কত লাগবে? এখন তো আর কেউ খাওয়া দাওয়াও করে না সবাই ডায়েট করে’।
[ad_2]