[ad_1]
নিজস্ব প্রতিনিধি , দক্ষিণ দিনাজপুর – বর্তমানে মোবাইলের আসক্তির ফাঁদে পড়ে প্রাণ হারাচ্ছেন বহু মানুষ । এবার সেই তালিকাতে নাম যুক্ত হলো বালুরঘাটের বাসিন্দা রানু মন্ডলের স্কুল পড়ুয়া মেয়ে রুবি মন্ডলের (১৫)। কেন রুবি মন্ডল আত্মহত্যা করেছে তা এখনো জানতে পারেনি পুলিশ কর্তারা।
বজবজের ৪৫/সি মেহেতা রোডের বাসিন্দা রানু মন্ডল ও জুট মিল কর্মী সুভাষ মন্ডলের তিন সন্তানের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ ছিল নিহত রুবি মন্ডল। সে ম্যানুয়াল গার্লস স্কুলের দশম শ্রেণীতে পড়তো। মূলত লকডাউনের পর থেকে রুবির অনলাইন ক্লাস শুরু হওয়ায় ফোন দেওয়া হয়েছিল তাকে। কিন্তু মঙ্গলবার রাজ্যে স্কুল খুলে গিয়েছে তাই তার পড়ার জন্য ফোনটি লাগবেনা ভেবে বৃহস্পতিবার তার মা ইচ্ছে করেই ফোনটি নিয়ে দোকানে চলে যান।
তারপরই এদিন সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ রানু মন্ডলের বড় ছেলে ঘরে ঢুকে রুবিকে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে থাকতে দেখে সঙ্গে সঙ্গে খবর দেয় তার বাবা-মাকে বাবা। তবে শেষ রক্ষা হয়নি হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু তার। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সমস্ত বিষয়ে জানার পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে স্থানীয় থানার পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। তবে কি কারণে রুবির মৃত্যু হয়েছে তা তারা এখনও বলতে পারছেন না।
রুবি মন্ডলের মৃত্যু এখনো মেনে নিতে পারছেন না তার মা রানু মন্ডল তিনি ক্রমাগত কান্নাকাটি করে বলছেন ” ভেবেছিলাম অফলাইন ক্লাস চালু হওয়ায় ওর ফোনের অতটা দরকার পড়বেনা তাই ফোনটাকে সাথে করে দোকানে নিয়ে গেছিলাম। যাতে ফোনের থেকে কিছুটা দূরে থেকে ওর ফোনের প্রতি আসক্তি কমতে পারে আর ও পড়াশোনায় মন দিতে পারে। কিন্তু ও যে এই ফোনের জন্য আত্মহত্যার পথ বেছে নেবে তা আমি কোনোদিনও ভাবতে পারিনি”।
[ad_2]