[ad_1]
নিজস্ব প্রতিনিধি , মালদহ – সোমবার পঞ্চায়েতে টেন্ডারের ফর্ম বিলির প্রথম তারিখ ছিল সেই নিয়ে ধুন্ধুমার কান্ড বাঁধে তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম-পঞ্চায়েত দফতরে। হরিশচন্দ্রপুর থানা এলাকার দৌলতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তুমুল খন্ড যুদ্ধ। এই ঘটনায় অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে এলাকা। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরে একদল ঠিকাদার হামলা করে। জানা যায় তারা প্রত্যেকেই তৃণমূল কর্মী। টেন্ডারের ফর্ম নিয়ে পঞ্চায়েত দফতরের কর্মীদের হেনস্তা সহ লুটপাটের চেষ্টা, ভাঙচুর করা হয়। এমনকি তার সঙ্গে বর্তমান পঞ্চায়েত প্রধানের ওপরেও হামলার চেষ্টা করা হয়। অভিযোগ এলাকার বেশ কয়েকজন ঠিকাদার ফর্ম নিতে হাজির হলে তাদের ফর্ম দিতে অস্বীকার করে বর্তমান পঞ্চায়েত প্রধান ও অন্যান্য পঞ্চায়েত সদস্যরা। তাই নিয়ে বচসা বাঁধে। সেই বচসাকে কেন্দ্র করে এলাকাজুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে । এমনকি পঞ্চায়েতে দফতরের টেবিল-চেয়ার ভাঙচুর থেকে শুরু করে ছিড়ে ফেলা হয় পঞ্চায়েতের কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি। এই গন্ডগোলের জেরে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তুমুল হাতাহাতি বাঁধে।
আরও জানা গেছে, এই গন্ডগোলের পেছনে জড়িত রয়েছে তৃণমূলের বর্তমান পঞ্চায়েত প্রধান মোবারক হোসেন ও প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান তোফাজ্জল হোসেন সহ তাদের অনুগামীরাও। এই ঘটনার খবর পেয়ে হরিশচন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাসের নেতৃত্বে এলাকায় ছুটে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। ইতিমধ্যেই পুলিশ তিনজনকে আটক করে নিয়ে যায়। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গেছে, টেন্ডার ফর্ম বিলির প্রথম দিনেই প্রাক্তন প্রধানের লোকজনকে পঞ্চায়েতের টেন্ডার ফর্ম তুলতে বাধা দেয় বর্তমান প্রধানের অনুগামীরা। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র অশান্তি সৃষ্টি হয়। এরপর এই অশান্তি তীব্র আকার ধারণ করে। তবে এই ঘটনার প্রসঙ্গে তৃণমূল ব্লকের নেতৃত্ব কিছু বলতে চাইনি।
তোফাজ্জল হোসেন (প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান) জানিয়েছে, “ বর্তমান প্রধান তৃণমূল নেতাদের পয়সা দিয়ে নিজে প্রধান হয়েছে। এমনকি অভিযোগ করেছে এই প্রধান জনগণের সমস্ত টাকা লুট করছে। এলাকার দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের সাথে হাত মিলিয়ে সমস্ত জন-কল্যাণমূলক প্রকল্প থেকে টাকা সরিয়ে নিয়েছে। এছাড়াও অনেক উন্নয়নমূলক প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছে। এমনকি নিজের ঠিকাদারদের কাজ দেবে বলে অন্য ঠিকাদারদের পঞ্চায়েত থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। তাই জন্যই আজকের এই গন্ডগোল।
মোবারক হোসেন (বর্তমান পঞ্চায়েত প্রধান) জানিয়েছে, “ প্রাক্তন প্রধান অভিযোগ ভিত্তিহীন। প্রাক্তন প্রধানের মদতেই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ টেন্ডারের প্রথম তারিখ থাকায় ঠিক করা হয়েছিল এলাকার সমস্ত কন্টাকটারকে একসঙ্গে ফর্ম দেওয়া হবে বলে। তবে প্রাক্তন প্রধানের উস্কানিতে এলাকার বেশকিছু কন্টাক্টার এসে পঞ্চায়েতে ঝামেলা করে, মারধর ও ভাংচুরে গিয়ে শেষ হয়। প্রাক্তন প্রধানের উস্কানিতেই আজকের এই ঘটনা ঘটেছে”।
[ad_2]