[ad_1]
নিজস্ব প্রতিনিধি, পশ্চিম মেদিনীপুর – ক্রমস শক্তি সঞ্চয় করে নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে জাওয়াদ। ইতিমধ্যেই এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার উদ্দেশ্যে প্রস্তুত রাজ্য প্রশাসন। বিপর্যয় মোকাবিলার সংশ্লিষ্ট দফতর গুলিকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে বিভিন্ন জেলায় জানানো হয়েছে অতিবৃষ্টির সতর্কতা। মন্ত্রী ড. মানস ভুঁইয়া জানিয়েছেন, রাজ্য জুড়ে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার জন্য সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই ইতিমধ্যেই মুখ্যসচিব রাজ্যের সমস্ত জেলার ডিএমদের সাথে বৈঠক করেছেন। পূর্ব মেদিনীপুরের সমুদ্র তীরবর্তী এলাকা থেকে মানুষকে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। এরই সঙ্গে সব জায়গার পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের সাথে ও বিডিও সহ সমস্ত প্রশাসনিক আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে তারা সব রকম পরিস্থিতির জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
তাছাড়া রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও প্রস্তুত আছে বলে জানা গেছে। কোস্টাল এরিয়ায় মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় মাইকিং চালানো হচ্ছে। এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে বারবার ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে রাজ্য। তিনি জানিয়েছেন, অন্ধপ্রদেশ, উড়িষ্যার পরেই পশ্চিমবঙ্গ থার্ড টার্গেট।
উল্লেখ্য, মন্ত্রী মানস ভুঁইয়ার হাতে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে শুক্রবার মেদিনীপুরে পালন করা হলো হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজের ৭৭তম প্রতিষ্ঠা দিবস ও ২৭ স্টুডেন্ট রিইউনিয়ন দিবস। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিক ভুবন চন্দ্র হাঁসদা সহ মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুন্ডু, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ,ও হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ড. শ্রীমন্ত সাহার মত বিশিষ্ট লোকজন এবং এছাড়া ছিলো কলেজের প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রছাত্রীরা। দীর্ঘদিন ধরে মহামারি করোনা আবহ থাকার ফলে প্রথম বারের জন্য কলেজ মুখো হয়ে ছাত্রছাত্রীরা খুব খুশি।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মানস ভুঁইয়া জানান, তারা সবাই এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত। দুর্ভাগ্য তাদের একটাই যে বার বার এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে। তবুও কোনো রকম বিচ্যুতি ছাড়া ওসি, বিডিও, ডিএম, পঞ্চায়েত প্রধান, জেলা পরিষদ সবাই মিলে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পালন করে’।
[ad_2]