[ad_1]
নিজস্ব প্রতিনিধিব, পূর্ব মেদিনীপুর – সম্প্রতি উড়িষ্যা ও অন্ধ্র প্রদেশ সহ বেশকিছু জেলার উপর তান্ডব চালাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় জওয়াদ। কার্যত প্রলয়ংঙ্কারী এই ঝড়ের কবলে পড়ে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে দীঘার সমুদ্র উপকূলে তা খতিয়ে দেখতে শনিবার পূর্ব মেদিনীপুর দীঘার সমুদ্রতট পরিদর্শন করেন মৎস্য মন্ত্রী অখিল গিরি।
শনিবার সকাল থেকেই যেমন ওড়িশা উপকূলে ঘূর্ণিঝড় দেখা দিয়েছে সেরকমই তার কিছুটা প্রভাব পড়েছে বঙ্গের উপর। সকাল হতেই মুখ ভার করে রয়েছে গোটা আকাশ। এমতাবস্থায় যত বেলা এগোচ্ছে ততোই যেন তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়ে আরও দ্বিগুন শক্তিশালী হয়ে উঠছে জওয়াদ। ইতিমধ্যে তার কিছু রেশ দেখা গিয়েছে সুন্দরবন উপকূলে। একদিকে যেমন ঝড় অন্যদিকে অমাবস্যায় ভরা কোটালে ফুলে ফেঁপে উঠেছে দীঘার সমুদ্র সৈকত। এমতাবস্তায় কতটা ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে তা খতিয়ে দেখতে স্বয়ং দীঘার সমুদ্র পরিদর্শনে আসলেন মৎস্য মন্ত্রী।
গোটা এলাকা পরিদর্শন করার পর মন্ত্রী অখিল গিরি জানান, সকাল থেকে নিম্নচাপ শুরু হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর সহ বেশকিছু বঙ্গীয় অঞ্চলগুলিতে। যার কারণে দীঘার অধিকাংশ হোটেলের নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে যাতে বেশি সংখ্যক পর্যটকদের তারা গ্রহণ না করেন। পাশাপাশি দেখা গিয়েছে অধিকাংশ পর্যটক আবহাওয়া খারাপ হওয়ার কারণে স্বেচ্ছায় হোটেল বুকিং বাতিল করে দিয়েছেন। তবুও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সম্পূর্ণরূপে তৈরি রয়েছে। ইতিমধ্যেই এনডিআরএফ টিম মাইকিং করে গ্রামে গ্রামে গিয়ে সচেতনামূলক প্রচার করছে। সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাস ক্রমেই বাড়ছে যার কারণে গার্ডওয়াল পেরিয়ে জনবসতি এলাকায় যাতে জল না ঢুকতে পারে তার জন্য কড়া নজরদারি রাখা হচ্ছে। তবে প্রকৃতির কাছে হার মানতে নারাজ সরকার। তাই সমস্ত শুকনো খাবার সহ রান্না খাবার কিংবা ক্যাম্প করে রীতিমতো প্রস্তুতি রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে কিছুটা হলেও আতঙ্কিত রয়েছে সকল মানুষ।
[ad_2]