[ad_1]
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা – পশ্চিমবঙ্গের সীমানা ছাড়িয়ে জাতীয় স্তরে সংগঠন মজবুত করতে তৎপর হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর এই একের পর এক সফর এবং আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলির সাথে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে কটাক্ষ করে গেরুয়া শিবির। আজ তৃণমূলের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু।
শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে সায়ন্তন বসু জানান, বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য সকলের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। রত্নাকর অনেক সময় বাল্মিকীর মতো কথা বলে কিন্তু সেটি বাস্তবে হয় না। ভাবতেও লজ্জা লাগে অধিকাংশ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দেখা করবেন না তা সত্বেও তাদের দরজায় পৌঁছে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে নির্বাচন করার প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে শান্তিপূর্ণ ভোট হলে অসুবিধা কোথায়। তবে তৃণমূল খুব ভাল করেই জানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করলে ভোট লুট করা সম্ভব নয়। পাশাপাশি কলকাতা পুলিশ হোক কিংবা রাজ্য পুলিশ সকলেই হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর লেঠেল বাহিনী। সেই ক্ষেত্রে তাদের দিয়ে ভোট করা মানেই বিশৃংখল পরিস্থিতি তৈরি করা।
আবার তৃণমূল সিপিএম ও কংগ্রেসের খন্ডযুদ্ধের বিষয়ে সায়ন্তন বসু বলেন, এই তিন দল দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ হয়ে লড়াই করতে চান। বিজেপির মধ্যে রকম সংস্কার নেই তাদের জোটেই জট রয়েছে। সুতরাং, কখনো তৃণমূল সিপিএমকে আহ্বান জানাচ্ছে অবার কংগ্রেস-তৃণমূলকে কটাক্ষ করছে। এই সকল বিষয়ে নেই বিজেপি। তবে রাজ্যবাসীকে ৫০০ টাকা ভিক্ষা দিয়ে কখনো প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসা যায় না। তবে মুখ্যমন্ত্রী প্রকল্প বলতে কী করেছে! স্বচ্ছতা নিয়ে যে চিৎকার করে, সেটি প্রধানমন্ত্রীর স্বচ্ছ ভারত অভিযান থেকে চুরি করা। আবার দুয়ারে রেশন প্রকল্পতে সম্পূর্ণটাই দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। সন্ত্রাস পরিবেশ তৈরী করা ও রাজ্যবাসীকে ভিক্ষা দেওয়া ছাড়া আর কোন উন্নয়ন করেনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
[ad_2]