[ad_1]
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা – দিল্লির সীমান্তে গত এক বছর ধরে কৃষকদের বিক্ষোভের পর অবশেষে আজ নতি স্বীকার করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আসন্ন নির্বাচনের মুখে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার করার ঘোষণা করেছেন। কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণার পরেই প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে বিজয় উল্লাসে মেতেছে বাম শিবির।
বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দম্ভের অবসান হল। বিগত এক বছর ধরে এই আন্দোলন চলেছে। এই জয় সাধারণ কৃষকের জয়। আন্দোলন করতে গিয়ে প্রাণ দিতে হয়েছে কৃষকদের। আজ নরেন্দ্র মোদির দম্ভের অবসান হল’।
বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, ‘ওই তিনটি বিল গায়ের জোরে পাশ করিয়েছিল কেন্দ্র। জবরদস্তি চালু করবে বলে উঠে পড়ে লেগেছিল। ওই আন্দোলনে ১০০ জনের বেশি কৃষক প্রাণ দিয়েছেন। তাঁদের রক্তের বিনিময় ব্যর্থ হয়নি। প্রধানমন্ত্রী বুঝতে পারছেন জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলে তার ফল কী হবে! যে কৃষকরা তাঁদের মহামূল্য জীবন দিলেন তা কি ফিরিয়ে দিতে পারবেন মিস্টার মোদি? এই জয় কৃষকদের বড় জয়’।
সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘এ এক ঐতিহাসিক জয়। আমি স্বাধীনতা আন্দোলন দেখিনি। এই আন্দোলন দেখলাম। ধারাবাহিকভাবে এই আন্দোলনের চাপেই আইন প্রত্যাহারে বাধ্য হয়েছে কেন্দ্র। আমরাও শিখলাম। আন্দোলনের ধারা আগামীতে এমনটাই হবে। আশা করি কৃষি আইন প্রত্যাহারের পাশাপাশি, অন্য সব ক্ষেত্রেও পিছু হটবে সরকার’।
সিপিএম নেতা সৃর্যকান্ত মিশ্র ট্যুইট করেন, ‘শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি কৃষক আন্দোলনের শহীদদের। এই জয় সংযুক্ত কৃষক আন্দোলনের। সংযুক্ত কিষান মোর্চাকে অভিনন্দন। আমাদের রাজ্যের আইনে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের আমলে কৃষক বিরোধী সংশোধনীগুলিকেও বাতিল করা হোক’।
সিপিএম নেত্রী ঐশী ঘোষ ট্যুইটারে লেখেন, ‘কে বলল সংগ্রাম করে কিছু পাওয়া যায় না? প্রধানমন্ত্রী কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। এখান থেকে ফিরে যাওয়া উচিত নয়। আমরা যদি একসাথে থাকি তবে আমরা এটি জিতব’।
প্রসঙ্গত, আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কৃষকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে জানিয়েছেন, ‘আজ দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে বলতে চাই, আমাদের তপস্যায় নিশ্চয়ই কোনো না কোনো ঘাটতি ছিল। আমরা কৃষকদের বুঝতে পারিনি। গুরু নানক দেবের পবিত্র উৎসব আজ। এটা কাউকে দোষারোপ করার সময় নয়। আজ আমি সমগ্র দেশকে জানাতে চাই, সরকার তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে’।
[ad_2]