[ad_1]
নিজস্ব প্রতিনিধি , কলকাতা – রবিবার সকাল থেকেই গোটা দেশের নজর ছিল ত্রিপুরার পুরভোটের ফলের উপর । সকাল থেকেই হাইভোল্টেজ এই নির্বাচনের ফল নিয়ে তুমুল উত্সাহ ছিল বিজেপি, তৃণমূল ও সিপিএমের। আগরতলা পুরসভা, ৬ নগর পঞ্চায়েত, ৭টি পৌর পরিষদ মিলিয়ে মোট ৩৩৪টি আসনে এই নির্বাচন হয়েছে। তবে ফল ঘোষণা হতেই গেরুয়া ঝড়ে উল্টে পড়েছে তৃণমূল ও সিপিএম।
ত্রিপুরা আগরতলা নির্বাচনে ১১২টি আসনে অন্য কোনও দল প্রার্থী না দেওয়ায়, সেই আসনগুলিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছে বিজেপি। প্রথম থেকেই তৃণমূলের লক্ষ্য ছিল আগরতলা। ফলাফলে তৃণমূলকে বহু পিছনে রেখে বিজেপি এগিয়ে গেলেও, দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে দল। ভোট শতাংশের বিচারে সিপিএমকে পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে তৃণমূল।
ত্রিপুরার পুরভোটের ফাইনাল ফল প্রকাশের পর থেকেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটারে হুঁশিয়ারি বার্তা দিয়ে বলেন, ‘ সবেতো শুরু এবার আসল খেলা হবে’। ত্রিপুরা তৃণমূলের মনোবল বাড়াতে অভিষেকের বক্তব্য, ‘অত্যন্ত সামান্য উপস্থিতি থেকে একটি দলের পক্ষে পুরভোটে সফল ভাবে নির্বাচনে লড়া এবং ২০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে প্রধান বিরোধীর ভূমিকায় উঠে আসা সত্যিই অভূতপূর্ব ব্যাপার।মাত্র তিন মাস আগেই ত্রিপুরায় রাজনৈতিক যাত্রা শুরু করেছিলাম আমরা। আর ত্রিপুরায় গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে কোনও সুযোগ ছাড়েনি বিজেপি। সাহসিকতার জন্য ত্রিপুরার দলীয় কর্মীদের অনেক অভিনন্দন।’
অন্যদিকে ত্রিপুরায় ভোট হয়েছে বলে দাবি করেছেন রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনিও ট্যুইটে লিখেছেন, ‘ত্রিপুরায় তৃণমূলের দু’মাসের সংগঠনকে ঠেকাতে এত হামলা, মামলা চালানো হয়েছে। তার পরেও বহু ওয়ার্ডে দ্বিতীয় হয়েছে তৃণমূল। আমবাসা ওয়ার্ডে জিতেছে দল। দলের লড়াই আর মানুষের সমর্থনকে ধন্যবাদ।’
এদিন ত্রিপুরার ভোটবাক্সে ফের একবার গেরুয়া ঝড়ই দেখা গিয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব বলেছেন, ‘বারবার ত্রিপুরার মানুষকে আক্রমণ করা, আজই তারই জবাব দিয়েছে ত্রিপুরাবাসী। সমস্ত ত্রিপুরাবাসীর এই জিত্। আর যারা ত্রিপুরাবাসীকে লাগাতার অপমান করেছেন, তাঁদের যোগ্য জবাব দিয়েছে ত্রিপুরা।’
[ad_2]