[ad_1]
নিজস্ব প্রতিনিধি , দক্ষিণ দিনাজপুর – উত্তরবঙ্গে বৃহৎরূপে জাগ্রত বোল্লা কালী পুজো ও মেলা হয়। কিন্তু প্রশাসনের নির্দেশে করোনা অতিমারির প্রভাবে এবছর কালী মাতার পুজোয় ভক্তদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়নি। আগামী ২৬ নভেম্বর শুক্রবার পুজো দেওয়ার নির্ধারিত দিন কিন্তু যেহেতু ভক্তেরা ওই দিন পুজো দিতে পারবে না তাই তারা একসপ্তাহ আগে থেকেই ভিড় জমায় শতাব্দী প্রাচীন বোল্লা রক্ষা কালী মাতার পুজো দিতে।
মেলার প্রস্তুতিতে বোল্লা গ্রামে গিয়ে দেখা মিললো মেলা ঘিরে এই মুহূর্তে শুরু হয়ে গিয়েছে সাজো-সাজো রব এবং তারই সঙ্গে ভক্তদের ভিড়। পাশাপাশি যেসব ভক্তরা মায়ের কাছে ছাগল বলি দেওয়ার মানত করেছিল, এবং যাদের মানত পূর্ণতা লাভ করেছিলো, তারা করোনা অতিমারির জন্য মায়ের নিকট ছাগল বলি দিতে পারবে না। আজ মন্দিরে এসে পুজো দেওয়ার পাশাপাশি ছাগল বলি না দিয়েই বাড়ি ফিরেছেন তারা। এবং তারা মনে মনে আশা করেছেন আসছে বছরে যেনো করোনামুক্ত নির্মল পরিবেশে মায়ের দর্শন পায় এবং পুজো দিতে পারে।
প্রত্যেক বছর রাসপূর্ণিমার পরের শুক্রবার শতাব্দী প্রাচীন ও জাগ্রত বোল্লা রক্ষা কালী মাতার পুজো বোল্লা তে অনুষ্ঠিত হয়। পাশাপাশি ৪ দিনের এক বিরাট মেলা এই পুজোকে ঘিরে থাকে। পুজোর দিন সকাল থেকেই প্রচুর ভক্তের সমাগম হয় এবং চার-পাঁচ হাজারের মতো ছাগ, মহিষ বলিও দেওয়া হয়। এছাড়া প্রচুর সোনার অলঙ্কার ভক্তজনেরা মাকে নিবেদন করেন যেটা পাহারা দিতে পুলিশকে হিমসিম খেতে হয়।
গতবছরের মতো ছবি এবছরও দেখা গেলো বোল্লা কালী মন্দিরে। গতবছর করোনা অতিমারির কারণে শুধু পুজোর দিন মন্দির কমিটির লোকজন ছাড়া আর কাউকেই মন্দির চত্বরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সেইসঙ্গে বহিরাগতরা গ্রামের মধ্যে যাতে প্রবেশ করতে না পারে তাই গোটা গ্রামটাকেই ঘিরে রেখেছিলো পুলিশ প্রশাসন। এবারও যে ব্যতিক্রম হয়েছে তা নয়। তাই পুজো দিতে মায়ের মন্দিরে এক সপ্তাহ আগে থেকেই ভিড় জমিয়েছিলেন তারা।
[ad_2]