[ad_1]
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা – বিধানসভা উপনির্বাচন পর্ব শেষ হতেই কলকাতায় পৌর নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। জোর কদমে প্রস্তুতি শুরু করেছে তৃণমূল। অন্যদিকে শুরু হয়েছে বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনের প্রস্তুতি পর্বও। এমতাবস্তায় শাসকদলের একাধিক পদক্ষেপকে কটাক্ষ করেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু।
আদনির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা বলেন, সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী শিল্প উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তিনি কার সঙ্গে কি বৈঠক করবে সেটা তার সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত বিষয়। তবে শিল্পপতিদের কাছে বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রীর ব্র্যান্ড ভ্যালু সম্পূর্ণ শূন্য।
তিনি আরও জানিয়েছেন, আমাদের এখানে অর্থমন্ত্রী সহ মানুষ এসেছেন। শিল্পপতিরাও এসেছেন কিন্তু কখনো তারা বাংলার শিল্পের নামে কোন রকম বদনাম করেননি। অথচ পরবর্তীতে তারা যখন পরিদর্শন করে চলে গিয়েছেন তার যে রিপোর্ট এসেছে সেখানে শিল্পের সবচেয়ে শিখরে ছিল ব্যাঙ্গালোর এবং সর্বশেষে স্থান পেয়েছে কলকাতা।
সুতরাং মুখ্যমন্ত্রী গোটা বাংলা জুড়ে যে অরাজকতায় করেছেন সেই জন্য এখানে শিল্পের প্রতি কোন রকম উন্নয়ন হওয়া সম্ভাবনা নয় বলে কটাক্ষ করেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু।
অন্যদিকে, আবার কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা বলেন, বিজেপি আগেও বলেছে এখনও বলছে, নির্বাচন কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপের মধ্যেই চায়। তবে বাংলার অবস্থা এতটাই খারাপ যে ঘূর্ণিঝড়ের সময় রাস্তার উপর গাছ পড়লে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ডাকতে হয় সেটি সরানোর জন্য।
রতন মালাকারের নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তৃণমূলের সদস্যরা খালি মুখে বড় বড় কথা বলতে পারে কাজের বেলায় লবডঙ্কা। আবার অন্যদিকে নির্বাচনের সময় এত বেশি হোডিং দেয় যার কারণে দৃশ্য দূষণ ঘটায় তৃণমূল। কিছু কিছু জায়গায় শাসকদলের জন্য মানুষ ভয় রাস্তায় বেরোতে পর্যন্ত পারে না।
উদাহরণস্বরূপ সায়ন্তন বসু জানিয়েছেন, তৃণমূলের প্রার্থী শান্তি কুন্ডু যে ওয়ার্ডে দাঁড়িয়েছে সেখানে রীতিমতো শাসিয়ে বলা হয়েছে, যারা তৃণমূলের মিছিলে যোগদান করবে না, তাদের যাতে ভোটার আই কার্ড ও ফটো পাঠিয়ে দেওয়া হয় ভোট এখান থেকেই হবে। অর্থাৎ রীতিমতো গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করছে মুখ্যমন্ত্রীর অনুগামীরা। এখনতো কংগ্রেস-তৃণমূলে বিরোধিতা দৃশ্য দেখছে গোটা দেশ। কিন্তু কংগ্রেসে-তৃনমূলের মধ্যে কি হচ্ছে সেই বিষয়ে মাথা ঘামায় না বিজেপি। সর্বশেষে সর্ব প্রথম স্থান অধিকার করবে পদ্মফুল এটা নিশ্চিত।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় সম্ভবত উড়িষ্যা অন্ধপ্রদেশের দিক থেকে আসবে। যদিও ইতিমধ্যে গোটা এরিয়া কন্ট্রোল করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ অনুসারে। সেই নির্দেশ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে নবান্নে। কোনো পরিকাঠামো নেই নবান্নবাসীর। ঝড় বৃষ্টি হলেই গাছ পোড়ে রাস্তা বন্ধ হতেই সেনাবাহিনীকে ডাকা হয়। অথচ নির্বাচনের সময় তাদের ডাকতে ঘোর বিরোধিতা করে তৃণমূল।
[ad_2]