[ad_1]
নিজস্ব প্রতিনিধি, পুরুলিয়া – মুঠোফোন এক ছাদের নীচে নিয়ে এসেছে গোটা বিশ্বকে। ফোনের মাধ্যমে মুশকিল আসান পুরুলিয়ায়। ফোনে অপুষ্টিজনিত রোগে আক্রান্ত এক শিশুর ছবি পাওয়ার পর চিকিৎসার জন্য বাড়িতে পৌঁছাল রঘুনাথপুর মহকুমা প্রশাসক।
পুরুলিয়ার সাঁতুড়ি ব্লকের ঢেঁকশিলা পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মালপাড়ার বাসিন্দা অরুপ মালের তিনমাসের পুত্র সন্তান অপুষ্ট জনিত রোগে আক্রান্তের খবর পেয়ে রীতিমত আ্যম্বুলেন্স নিয়ে মঙ্গলবার অরুপ মালের বাড়িতে পৌঁছান মহকুমা শাসক প্রিয়দর্শীনি ভট্টাচার্য।
তার সাথে ছিলেন সাঁতুড়ি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক আশীষ বিশ্বকর্মা ও আইসিডিএস-এর কর্মীরা। দীর্ঘক্ষন শিশুটির পরিবারের সাথে কথা বলেন মহকুমা শাসক। তারপর ভালো করে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক।
এদিন মহকুমা শাসক জানিয়েছেন, আমাকে এই শিশুটির ছবি কেউ ফোনে শেয়ার করে। তারপরই আমি দেরি না করে তৈরি হয় এখানে আসার জন্য। এখানে এসে দেখলাম বাচ্চার মা নিজেই একটা বাচ্চা। মায়ের বয়স সাকুল্যে ১৯ কি ২০ বছর হবে। অপূর্ন শরীর, বাচ্চার মা হবার মত শারীরিক ক্ষমতা নেই।
তিনি আরও জানান, আমরা আসার আগে পর্যন্ত বাচ্চার বাবাও দায়িত্ব নিচ্ছিল না। তাই বাবা মা সহ সমস্ত পরিবার তথা সমাজের সকল মানুষের কাছে আমরা বার্তা দিতে চাই সঠিক সময়ে সবকিছু করুন। সরকার আইসিডিএস কেন্দ্রে বাচ্চাদের ও গর্ভবতী মহিলাদের জন্য পুষ্টিজনিত খাবার দেবার ব্যবস্থা করেছে।নিজেদের সেখানে যেতে হবে , সেসব খাবার সংগ্রহ করতে হবে।
আজ প্রথমে প্রাথমিকভাবে বাচ্চাটির পুরোপুরি স্বাস্থ্য পরীক্ষা হল। তারপর বাচ্চা ও বাচ্চার মা দুজনকেই পুষ্টি পুনর্বাসন কেন্দ্রে ১৫ দিনের জন্য পাঠানো হবে বলে জানালেন মহকুমা শাসক।
সাঁতুড়ি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক আশীষ বিশ্বকর্মা জানান, মহকুমা শাসক আজ যে এই শিশুটির জন্য ছুটে এসেছেন তারজন্য উনাকে ধন্যবাদ জানাই।
তিনি জানান, অপুষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত একটি শিশুকে চিকিৎসার জন্য তিনি যে উদ্যোগ নিলেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। মা পুষ্টিকারক খাবার না খেলে শিশু অপুষ্টি-আক্রান্ত হবেই। তাই গর্ভবতী মহিলাদের আমরা বলব আপনারা খাওয়া-দাওয়া ভালো করবেন। মা-এর ওজন বাড়লে শিশুরও ওজন বাড়বে। এছাড়াও পরিবারের লোকজনদের বলব বাচ্চার মা শিশুদের পুষ্টিজনিত খাবার দেবেন। জানা গেছে, বাচ্চাটিকে পুরুলিয়া দেবেন মাহাত সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
[ad_2]