[ad_1]
নিজস্ব প্রতিনিধি, মুম্বই – স্বাধীনতার পর থেকেই দেশজুড়ে একচেটিয়াভাবে রাজত্ব করেছে কংগ্রেস। দেশের প্রতিটি রাজ্যেই রয়েছে কংগ্রেসের সাম্রাজ্য। যুগের পর যুগ ধরে যেভাবে তাদের রাজত্ব চলছে, সেই প্রথাকেই ‘পরিবারতন্ত্র’ বলে খোঁচা দিতেও ছাড়েনি কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু এবার শুধু বিজেপি নয়, তৃণমূলও কংগ্রেসের একচেটিয়া সাম্রাজ্য গোড়া থেকে উপড়ে ফেলতে তৎপর হয়েছে। এক কথায় বলা যায়, কংগ্রেস বিরোধীরা, এবার কংগ্রেস মুক্ত দেশ গড়তে লড়াই শুরু করেছে। আর সেই সূত্র মিললো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শরদ পাওয়ারের বৈঠক থেকেই।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিনদিনের মুম্বই সফরে গিয়েছেন। সফরের দ্বিতীয় দিনেই সাক্ষাৎ করেছেন এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের সঙ্গে। বুধবার শরদ পাওয়ারের বাসভবনে প্রায় এক ঘন্টা বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার সাথে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং এনসিপি’র শীর্ষস্থানীয় নেতা নবাব মালিক।
বৈঠক শেষে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বিজেপির বিরুদ্ধে সম্মিলিত মঞ্চ গড়ে লড়তে চায় তৃণমূল-সহ আঞ্চলিক দলগুলি। কিন্তু কেউ যদি না লড়তে চায়, তাহলে কী করা যাবে! পরোক্ষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজেপিকে রুখতে সম্মিলিত বিরোধী জোটের কথা বললেও, এখানে কংগ্রেসের অস্তিত্ব রাখতে চাইছেন না তিনি। তৃণমূল নেত্রী পরিষ্কার জানিয়ে দেন, ইউপিএ অর্থাৎ কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোটের কোনো অস্তিত্ব নেই। বিজেপিকে রুখতে বৃহত্তম বানাতে চান তিনি। রাজ্যের আঞ্চলিক দলগুলিকে এক ছাদের তলায় আনবেন মমতা।
পাশাপাশি এনসিপি সুপ্রিমো জানিয়েছেন, বিজেপি বিরোধী এই মহাজোটে কে নেতৃত্ব দেবে সেটা আমাদের কাছে ইস্যু নয়, আমরা চাই মানুষের সামনে এমন একটা বিকল্প তুলে ধরতে যার উপর মানুষ ভরসা করতে পারবে। এনসিপি নেতার সুরে সুর মিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানিয়েছেন, কঠিন পরিস্থিতিতে শক্তিশালী বিকল্প তৈরি করতে হবে । তাই সকলকে একত্রিত হয়ে মানুষের সামনে শক্তিশালী বিকল্প তুলে ধরতে হবে।
[ad_2]