[ad_1]
শ্যামল সান্যাল (বিশেষ প্রতিনিধি) ঢাকা – সময় যত অতিবাহিত হচ্ছে ততই তীব্রতর রূপ ধারণ করছে জাওয়াদ। কার্যত ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সমুদ্রের উত্তাল হওয়ায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন দ্বীপে আটকে পড়েছে প্রায় ৩০০ জনের বেশি পর্যটক। যদিও বর্তমানে সকল দিক নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানাচ্ছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ চৌধুরী।
শনিবার টেকনাফ উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা পারভেজ চৌধুরী জানান, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ শক্তিশালী হয়ে উপকূলের দিকে অগ্রসর হওয়ায় রবিবার সকাল থেকে সোমবার পর্যন্ত টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। বিশেষ করে ৫-৬ তারিখে বিশেষ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে পরের দিন জাহাজ চলাচল আবার শুরু করার সম্ভাবনা রয়েছে সেটি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আবহাওয়ার উপর।
তবে দ্বীপে যে সকল পর্যটক ভ্রমণে গিয়েছেন তাদের মধ্যে কিছু পর্যটক ফিরে আসলেও প্রায় ৩০০-র বেশি পর্যটক আটকে পড়েছেন। তাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক রয়েছে গতকাল রাত থেকেই দ্বীপে বসবাস করছে। তবে তাদের সঙ্গে প্রতিমুহূর্তে যোগাযোগ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে। পাশাপাশি যে পর্যটকরা টিকিট কেটেছিলেন তাদের টিকিট বাতিল করে টাকা রিফান্ড করে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে আবার নৌ-পরিবহণ কর্তৃপক্ষের টেকনাফ অঞ্চলের ট্রাফিক সুপারভাইজার জহির উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, কক্সবাজার সহ দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোতে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করে দুর্ঘটনা এড়াতে রুটের পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এই রুটের পাঁচটি জাহাজ চলাচল করছে বর্তমানে। তবে আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে বাকি জাহাজ চলাচল করা অনুমতি দেওয়া হবে।
[ad_2]