[ad_1]
শ্যামল সান্যাল (বিশেষ প্রতিনিধি) ঢাকা – সম্প্রতি কিছু বন্য মাছিদের কারণে রীতিমতো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে শুঁটকি মাছের কারবার। মাছের গুনাগুন বজায় রাখতে ও বন্য মাছির হাত থেকে রেহাই পেতে বন্ধ্যা মাছি প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিল বাংলাদেশ সরকার তথা বিশেষজ্ঞরা।
বুধবার দুপুরে সোনাদিয়া দ্বীপে পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের বিকিরণ কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রধান ডক্টর এটিএম ফয়জুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি গবেষণা দল প্রায় ২ লক্ষ বন্ধ্যা মাছি ছাড়া হয়। সেই সময় এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বি এফ আর আই-য়ের সামগ্রিক মৎস্য ও প্রযুক্তি কেন্দ্রের প্রধান ডক্টর শফিকুর রহমান, কীটতত্ত্ব বিভাগের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মুহসিনা ইয়াসমিন, শাহিনুর ইসলাম, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন ও বৈজ্ঞানিক সরকারি আবুল কালাম আজাদ সহ স্থানীয় শুটকি উৎপাদনকারীরা।
বন্ধ্যা মাছ ছাড়ার প্রসঙ্গে শুটকি উৎপাদন আমানুল্লাহ জানিয়েছেন, ২০০৭ সালের সোনাদিয়া দ্বীপের ক্ষতিকর মাছির উপদ্রব কমাতে বন্ধ্যা মাছি ছাড়া হয়েছিল। এরপর ক্ষতিকর মাছির উপদ্রব একদম কমে যায় এবং শুটকি উৎপাদন ও গুণগত মান বৃদ্ধি পায়। কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রে মাছকে রোদে রেখেই শুটকিতে পরিণত করা হয়। কিন্তু যত শতাংশ মাছ রোদে রাখা হয় তার প্রায় ৩০ শতাংশ বন্য মাছির উপদ্রবে নষ্ট হয়ে যায়। তাই লবণের পরিমাণ অধিক দেওয়া হয় যার কারণে গুনাগুন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। সেই ক্ষেত্রে কোন এলাকায় বন্য মাছির কয়েকগুণ বন্ধ্যা মাছি ছেড়ে দেওয়া হলে তাদের প্রজনন প্রক্রিয়া মাধ্যমে যে ডিম উৎপন্ন হয় তার থেকে আর বাচ্চা হয় না। এলাকা থেকে খুব দ্রুত বন্য মাছি নিঃশেষ হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, জৈব পদ্ধতিতে মশা নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য ইতিমধ্যে দ্য স্পেশল প্রোগ্রাম ফর রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং ইন ট্রপিক্যাল ডিজিজ নামের একটি প্রকল্পের অধীনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অর্থাৎ হু-য়ের সঙ্গে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি এজেন্সি ও একটি চুক্তি সই হয়েছে। যেটি ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসের স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় এই বন্ধ করার পদ্ধতিতে এডিস মশার বংশ নিয়ন্ত্রণ করে চিকুনগুনিয়া, ডেঙ্গু অধিকার প্রাদুর্ভাব কমিয়ে আনা আশা করছে হু ও আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি এজেন্সি। কার্যত সেই কারণেই বন্ধ্যা করণ প্রযুক্তিকে কার্যকর করতে তৎপর হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ সরকার।
[ad_2]