[ad_1]
নিজস্ব প্রতিনিধি , পশ্চিম বর্ধমান – সম্প্রতি ত্রিপুরা আগরতলায় রণক্ষেত্র পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। খুনের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হওয়া সায়নী ঘোষকে জামিনে ছাড়া দিয়েছে আদালত। কার্যত ত্রিপুরার ঘটনা সহ পেট্রোল-ডিজেলের অগ্নিমূল্য কমানোর দাবিতে মঙ্গলবার দুর্গাপুরের রাস্তায় নামানো মিছিলে নিজের মনের ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বিজেপি সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
মঙ্গলবার দুর্গাপুর বেনাচিতির প্রান্তিক পাঁচমাথা মোড় থেকে ভিরিঙ্গি পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তায় রোড শো করেন বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি। তবে পথসভায় দিলীপ ঘোষের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পল, স্থানীয় বিধায়ক লক্ষণ ঘড়ুই সহ একাধিক অধিকর্তারা। দীর্ঘক্ষণ মিছিল করার পর একটি অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করে নিজের বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি।
অস্থায়ী মঞ্চে নাম না করে দিলীপ ঘোষ বলেন, আগে সিনেমা করত এখন রাজনীতিতে এসেছে। এবিসিডি কিছুই জানেনা। কি বলতে হবে সেই জ্ঞানটুকু নেই। যার কারণে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় সেখানে গিয়ে খেলা হবে স্লোগান দিতেই তাকে গারদে ভরে দিয়েছে। তবে ত্রিপুরায় গিয়ে তৃণমূলের গুন্ডা রাজ চলেছে সেটি সত্যি নিন্দনীয় ব্যাপার। পাশাপাশি ত্রিপুরার ঘটনায় কলকাতায় বিজেপির সদর দফতরে গিয়ে রীতীমতো বিক্ষোভ দেখিয়েছে শাসকদলের কিছু ছেলে মেয়ে। বিজেপির এরকম কালচার নয়। তবে বিক্ষোভ করার আগে বিজেপিকে জানাতে পারতো তাদের জন্যে চা জলখাবারের ব্যবস্থা করতো দলের সদস্যরা।
বিজেপি সহ-সভাপতি আরও বলেন, অন্যদিকে দলের একজন মহিলা সদস্য জেলে চলে যাওয়ায় রীতিমতো কষ্ট পেয়েছে একজন। তিনি এতটাই কষ্টে শোকাহত হয়ে গিয়েছিলেন যে পুলিশের সঙ্গে সৌজন্যে সাক্ষাৎকারে চলে গিয়েছেন। কারা যায় এই সৌজন্য সাক্ষাতকার করতে। তবে তিনি বহুবার পুলিশের সঙ্গে যেমন সৌজন্য সাক্ষাতকার করেছেন ঠিক সেইভাবে বহুবার গারোদের হাওয়া খেয়েছেন। অনেকে মনে করেন রাজনীতিতে যে দীর্ঘদিন হাজতবাস করতে পারবে সেই বড় মাপের নেতা হতে পারবে। আবার জেলের বাইরে যখন ত্রিপুরাবাসী হুঙ্কার দিয়েছিলেন তখন সামান্য একটি কথায় লেজ গুটিয়ে মহিলা জেলের মধ্যে ঢুকে গিয়েছিল তারা। অর্থাৎ এরকম ভীত রাজনীতি অন্যদল করে থাকে বিজেপির ৫৬ ইঞ্চির বুক রয়েছে। কিভাবে বিক্ষোভের ঝড় সামলাতে হয় সেটি খুব ভালো মত জানেন পদ্মফুল শিবিরের সদস্যরা।
[ad_2]