[ad_1]
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা – আজ থেকে রাজ্যে শুরু হয়েছে দুয়ারে রেশন প্রকল্প। এদিন নেতাজি ইনডোরে মুখ্যমন্ত্রী এই প্রকল্প নিয়ে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
এদিন তিনি জানিয়েছেন,করোনা আবহে আমরা বহু মানুষকে খাবার দিয়েছি। বাইরে থেকে লোক এসেছে তাদেরকে ২০০০ টাকা করে দিয়েছি। আগে রেশনের চাল আসত খুদে ভরা। লোকে সেই চাল নিয়ে ঝগড়া করতো। বর্তমানে আমরা এখন চাষীদের থেকে চাল নিয়ে থাকি। আমরা এই অন্নদাতাদের জন্য অনেক প্রকল্প চালু করেছি। আজ থেকে আমরা রেশন পোর্টবিলিটি চালু করলাম এর জন্যে খাদ্য সাথী প্রকল্পের আওতায় থাকা মানুষ যে কোনও দোকান থেকে রেশন তুলতে পারবেন। খাদ্য সাথী রেশন অ্যাপ সহ হোয়াটস অ্যাপ চার্ট গার্ড চালু করলাম।
এছাড়াও তিনি এদিন জানান, ২০২০ সালে আমরা দুয়ারে সরকার প্রকল্প চালু হয়। এছাড়াও চালু করা হয়েছে পাড়ায় সমাধান। রাস্তা ঠিক করতে হলে বা অন্য কিছু সমস্যা থাকলে সেটা ঠিক করা হবে।
তিনি এদিন জানান, ১০ কোটি মানুষ বাড়িতে বসেই রেশন পাবেন। দুয়ারে রেশন প্রকল্পের জন্য তাদেরকে অতিরিক্ত কমশন দেওয়া হচ্ছে। কুইন্টাল প্রতি কমিশন ৭৫ থেকে বাড়িয়ে ১৫০ টাকা করা হয়েছে। রেশন ডিলারদের সরকার থেকে গাড়ি দেওয়া হবে। তবে যদি কেউ মনে করেন নিজের গাড়ি এই প্রকল্পের কাজে ব্যবহার করবেন তাহলে তাকে ১ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। ডিলাররা মারা গেলে ২ লক্ষ সরকারের তরফে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও ডিলারশিপ নেওয়ার জন্য টাকার মেয়াদ কমিয়ে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয় এবং মেয়েদেরও এই কাজে নিয়োগ করার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, শহরাঞ্চলে ডিলারশিপ অফিস এবং গোডাউনের জন্য জায়গার পরিমাণ কমানো হয়েছে। চাষীদের সাপোর্ট প্রাইস হিসেবে ১৯৪০ টাকা দেওয়া হবে। সিপিসিতে দান বিক্রি করলে ২০ টাকা বোনাস দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এমনকি ৫৫ লক্ষ ধান পকিওর করা হবে এবং চাষীরা এতে তিন দিনের মধ্যে টাকা পেয়ে যাবেন। দুয়ারে রেশনের জন্য ৫০০ মিটার পর পর গাড়ি দাঁড়াবে এবং যেদিন এই রেশন দেওয়া হবেহবে তার আগে প্রচার করে দেওয়া হবে ওই এলাকায়।
এই প্রকল্পের জন্য রেশন ডিলাররা ২ জন করে কর্মচারী রাখতে পারবেন। ওই দুজন কর্মচারীকে সরকার ৫০০০ এবং রেশন ডিলার ৫০০০ করে মাইনে দেবেন। এছাড়াও এই কাজে ৪২০০০ হাজার কর্মী নিয়োগ করা হবে।
[ad_2]