[ad_1]
নিজস্ব প্রতিনিধি, রাজস্থান – ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে ঐতিহাসিক জয়লাভ করেছিল ভারত। এই যুদ্ধের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রবিবার রাজস্থানের জয়সলমীরে, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের নায়ক ভৈরন সিং রাঠোড়ের সাথে দেখা করেন। তার সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতও উপস্থিত ছিলেন। ১৯৭১ সালের যুদ্ধে, ভৈরন সিং রাঠোর অদম্য বীরত্ব দেখিয়ে পাকিস্তানের বহু সেনাকে হত্যা করেছিলেন।
একটি ট্যুইটে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, ‘জয়সালমিরে ১৯৭১ সালের যুদ্ধে লঙ্গেওয়ালা পোস্টের বীর নায়ক ভৈরন সিং রাঠোড়ের সাথে দেখা করার সৌভাগ্য হয়েছে। লঙ্গেওয়ালা থেকে শত্রুদের তাড়িয়ে দেওয়ার তার সাহস এবং মাতৃভূমির প্রতি তার ভালোবাসা দেশের ইতিহাসে এবং দেশবাসীর হৃদয়ে অপরিসীম শ্রদ্ধার জায়গা তৈরি করেছে। তাকে আমি প্রনাম জানায়’।
ভৈরন সিং রাঠোড ১৯৬৩ সালে বিএসএফ-এ যোগদান করেন এবং তিনি ১৯৮৭ সালে অবসর গ্রহণ করেন। যুদ্ধের সময়, তিনি ডি-কোম্পানীর ১৪ তম ব্যাটালিয়নের তৃতীয় প্লাটুনে পদায়ন করেন। অন্যদিকে, ভারতীয় সেনাবাহিনী ২৩ পাঞ্জাবের লঙ্গেওয়ালা পোস্টে মোতায়েন করা হয়, যার নেতৃত্বে ছিলেন মেজর কুলদীপ সিং চাঁদপুরি। ল্যান্স নায়ক ভৈরন সিংকে পাঞ্জাব ব্যাটালিয়নের গাইড হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।
এরপর রাতে খবর পাওয়া যায়, পাকিস্তানি সেনারা ট্যাঙ্ক রেজিমেন্ট ও হাজার হাজার সৈন্য নিয়ে লঙ্গেওয়ালা পোস্টের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। সেই রাতে সেনাবাহিনীকে সাহায্য করার জন্য বিমানবাহিনীও পাওয়া যায়নি। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ১২০ জন সাহসী সৈন্য এবং ভৈরন সিং অদম্য বীরত্ব দেখিয়ে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে যোগ্য জবাব দেন।
ল্যান্স নায়েক ভৈরন সিং একটানা ৭ ঘন্টা এলএমজি বন্দুক দিয়ে গুলি চালিয়ে ২৫ টিরও বেশি পাকিস্তানি সৈন্যকে রুখে দেন। ১৯৭২ সালে, রাজস্থানের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বরকতুল্লাহ খান তাকে লঙ্গেওয়ালার যুদ্ধে বীরত্বের জন্য সেনা পদক প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, ‘বর্ডার’ ছবিতে ভৈরন সিং রাঠোড়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুনীল শেঠি। যদিও ছবিটিতে দেখানো হয়েছে যে ভৈরন সিং শহীদ হন তবে তা সত্য নয়।
[ad_2]